শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লেগেছিল নিচতলার স্টোর রুমে। সেখান থেকে আশেপাশের ১০ থেকে ১২টি কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়া ২-৩ তলা পর্যন্ত উঠে যায়।
আলী আহাম্মেদ বলেন, আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল হাসপাতালের আইসিও ও মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেয়া। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আমরা তা করতে পেরেছি। এরপর আগুনের ভয়াবহতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় অন্যান্য রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে হাসপাতালে কোনো রোগী নেই, সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগুনের কারণে বা উদ্ধার কাজে রোগী বা স্বজনদের কেউ আহত বা হতাহত হননি।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এখনও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে স্পষ্ট নই, বিষয়টি তদন্তাধীন। স্টোর রুমে প্রচুর ওষুধ ও দাহ্য পদার্থ ছিল। যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে তখনও হাসপাতালের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতে ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতালের সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উদঘাটনে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমারকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এর আগে আগুনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। খোলা মাঠে চিকিৎসা দেয়া হাসপাতালের রোগীদের কাছে ঘুরে ঘুরে তাদের খোঁজ-খবর নেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রোগীরা নিরাপদে রয়েছে। তবে আইসিও সেবা বা মুমূর্ষু রোগীদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে, এসব অ্যাম্বুলেন্সে রোগীদেরকে পাঠানো হচ্ছে। আগুনে কোনো রোগীর ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতালের ভেতরে কোনো রোগী নেই, সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে, পরে পর্যায়ক্রমে ইউনিট বাড়ানো হয়।